মানিকগঞ্জের সর্বত্রই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে ধান কাটা। অনেক জায়গায় ধান পুরোপুরি পাকতে আরও সময় লাগবে। যারা দেরিতে বোরো আবাদ করেছেন সেই সব কৃষক গোলায় ধান তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৪৮ হাজার ৭৬৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টরে। মানিকগঞ্জে বেশির ভাগ জমিতে ব্রি-৫৮, ৮৯, ৯২ জাতের ধান রোপণ হয়। কিছু জায়গায় ১০০, ১০২, ১০৫, ১০৮ জাতের ধান আবাদ হচ্ছে। জেলায় মোট কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন রয়েছে ১২৬টি। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আইড়মারার কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। সরিষা তোলার পর ধান রোপণ করায় একটু দেরি হয়েছে। সময় মতো ধান তুলতে পারব কি না জানি না। তিনি বলেন, দিনে দিনে কামলার (শ্রমিক) দাম বাড়ছে। ঝড় বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। বৃষ্টি নামলে শ্রমিকের দাম আরও চড়া হয়। ধানও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিবালয়ের মোখলেছ বলেন, আমাদের জমি একটু উঁচু হওয়ায় আগে চাষ করা যায়। এখানে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ১০-১২ দিনের মধ্যে কাটা শেষ হবে। তিনি জানান, ফলন খুব ভালো হয়েছে। সব খরচ মিটেয়ে ধানে কোনো বছরই লাভ হয় না। সরিষা চাষ করে আমরা বেঁচে আছি। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বিপদে পড়তে হবে। বৃষ্টিতে ধান ও খর দুটিই নষ্ট হয়ে যায়। জানা যায়, জমির পরিমাণ কম হলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে চান না মেশিন মালিকরা। এ মেশিন দিয়ে ধান কাটতে পারলে প্রায় ৬০ শতাংশ টাকা সাশ্রয় হয় জানান কৃষকরা।