বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েক দিন ধরে হচ্ছে ভারী বৃষ্টি। বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও কলাপাড়ায় শহর-গ্রামে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ডুবে গেছে ফসলি জমি ও মাছের পুকুর-খামার। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- বাগেরহাট : জেলা সদর, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা, রামপালসহ জেলার নয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাগেরহাট পৌরসভা, রাহাতের মোড়, সাধনার মোড়, নাগেরবাজার, পোস্ট অফিসের মোড়, শালতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় হয়েছে জলাবদ্ধতা। জেলার সব নদনদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে এক-দুই ফুট বেড়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে শত শত মাছ ধরা ট্রলার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠা-নামা। মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ হারুন আর রশিদ জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালী : অব্যাহত বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শহরের রাস্তাঘাট গতকাল ছিল প্রায় ফাঁকা। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। স্কুল-কলেজ ও আফিসগামীদের পড়তে হয়েছে বিরম্বনায়। বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খোলা থাকলেও বেচাবিক্রি ছিল না বললেই চলে। ১২ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলমান থাকবে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস। শহরের জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় মাঠ, জুবীলী স্কুল সড়ক, মহিলা কলেজ রোড, সবুজবাগ, কাজীপাড়া, পুরান বাজার, ফটিকের খেয়াঘাট, একতাসড়ক, গোরস্থান সড়ক, তিতাস সিনেমা সড়ক, মুন্সেফপাড়া, মুসলিমপাড়া, শিমুলবাগ, চকবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় জলবদ্ধতা দেখা গেছে। বাসা-বাড়িতে হাঁটুপানি জমায় ভোগান্ততিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। কলাপাড়া : জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে অধিকাংশ এলাকায়। তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের-পুকুর। ডুবে আছে বিভিন্ন সড়ক। অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নোয়াখালী : মুষলধারে বৃষ্টি জেলার বেশ কিছু সড়ক ও অলিগলির রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। অলিগলি ছাড়াও প্রধান সড়ক ও বাসা বাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।