স্পেনের একটি আদালত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১ জুন গাজায় ত্রাণবাহী একটি জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে তারা জড়িত ছিলেন। আন্তর্জাতিক জলসীমায় ‘এমভি মাদলিন’ নামের ওই জাহাজে ১২ জন আন্তর্জাতিক কর্মী ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী ছিল। অভিযানে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফিলিস্তিনি-ফরাসি মানবাধিকারকর্মী রিমা হাসানসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
স্প্যানিশ এমইপি (ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য) জাউমে আসেনস এক্সে জানান, অভিযানের ঘটনাটি স্প্যানিশ বিচারব্যবস্থার সর্বজনীন এখতিয়ারের আওতায় তদন্তের নির্দেশনা পেয়েছে। এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন স্পেনের নাগরিক সের্হিও তোরিবিও এবং সংস্থা ‘কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ দ্য অ্যারাব কজ’।
তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে বেসামরিক কর্মীদের অবৈধভাবে আটক করে, যা গাজায় চলমান সংঘাতে একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অংশ।
স্প্যানিশ আদালত এই হামলাকে গাজায় সম্ভাব্য গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) সঙ্গে সহযোগিতা চেয়েছে। গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্পেনের এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক তদন্ত।
এমইপি আসেনস বলেন, “দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। যখন রাষ্ট্রগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তখন নাগরিক সমাজকেই এগিয়ে এসে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হয়— এটি নৈতিক, আইনি ও রাজনৈতিক হাতিয়ার।”
এই তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে গেলে নেতানিয়াহু ও অভিযুক্ত অন্যান্য নেতাদের ইউরোপ সফরে বাধার মুখে পড়তে হতে পারে, কারণ তখন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঝুঁকি তৈরি হবে। ইসরায়েল সরকার এখনো এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি ও সিজিটিএন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ