ঘন ঘন ছুটি নেওয়াটায় যেন হাভিয়ের কাবরেরার চাকরি। জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচের এমন কর্মকান্ডে ফুটবলপ্রেমীরা বিরক্ত। এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে হামজারা খেলার পরও কেন এ ব্যর্থতা? কেউ কেউ বলেন, ম্যাচে কাবরেরা ঠিকমতো একাদশ সাজাতে পারেননি। খেলোয়াড় বদলিতেও তিনি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন এ অভিযোগ অনেকের-ই। হামজাও নাকি খেলোয়াড় বদলি নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না। সতীর্থ এক খেলোয়াড়কে বলেছেন, কিছু বাজে সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচে খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। বাফুফের কি উচিত ছিল না কাবরেরার কাছে জানতে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে বিতর্ক উঠছে কেন?
কোনো জিজ্ঞাসাবাদই করা হলো না তাকে। হামজা, সামিত, ফাহামিদুলরা যার যার গন্তব্য চলে যাওয়ার পর দেখা গেল হেড কোচও ছুটি নিয়ে স্পেনে চলে গেলেন। প্রবাসীদের ট্রায়াল দেখতে কাবরেরা ঢাকায় ফিরে এলেও তিন দিন থেকে আবার ছুটি পেয়ে উড়ে গেলেন। একজন হেড কোচ বারবার কীভাবে এত ছুটি পান তা রহস্য। বাফুফে কখনো বলে না কোচের বেতন কত? কী কারণে তারা গোপনীয়তা রক্ষা করেন তা নিয়েও নানা কথা উঠেছে। সত্য মিথ্যা যায় হোক কারও কারও ধারণা এখানে কমিশনের ব্যাপার রয়েছে বলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। হতে পারে এগুলো উলটা-পালটা ধারণা। কিন্তু কাবরেরা যে মোটা অংকের বেতন পান তা তো সত্য। তাহলে কোচ কথায় কথায় ছুটি পান কীভাবে? খেলা নেই তো কী হয়েছে? জাতীয় দল ঘিরে অন্য কাজও তো তাকে দিয়ে করানো যায়। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ তো কী হয়েছে। এজন্য কাবরেরা শুধু ছুটিই কাটাবেন! বাকি ম্যাচ তো শিষ্যদের নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন। সত্যিই ভাগ্যবান কাবরেরা। এমন আরামে চাকরি কত জনার জুটে?