এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব খেলে নারী জাতীয় দল দেশে ফিরেছে। দুর্দান্ত খেলেছেন তারা। টানা তিন ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন মেয়েরা। ইতিহাস গড়া মেয়েদের সংবর্ধনাও দিয়েছে বাফুফে। তবে ফেডারেশন থেকে কোনো অর্থ পুরস্কার ঘোষণা না আসায় বিস্মিত ফুটবলপ্রেমীরা। মিয়ানমারে খেলে এসে এখনো ক্লান্তি দূর হয়নি মেয়েদের। বিশ্রাম নেবে সেই সুযোগও নেই। শুক্রবার থেকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় শুরু হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টে ইতিহাস গড়া দলের অধিকাংশ ফুটবলারই থাকছেন না। বয়স বেশি থাকায় স্বাভাবিক কারণে জুনিয়র দলে খেলতে পারবেন না তারা।
মিয়ানমারে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার জুনিয়র সাফ খেলবেন। স্বপ্না রানী, মুনকী আক্তার, উমেলহা মারমা, জয়নব বিবি, স্বর্ণা রানী মন্ডল, মিলি আক্তার, নবিরণ বেগম ও সাগরিকা খেলবেন। ১১ জুলাই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অন্য দুটি দেশ হচ্ছে নেপাল ও ভুটান।
বাংলাদেশ ও ভারত বর্তমানে এ আসরে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। ভারত এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে না। পাকিস্তান নেই। এ ক্ষেত্রে শিরোপা লড়াইয়ে নেপালই হতে পারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের শিরোপা জেতার সামর্থ্য নেই। তবে কাউকে হালকা চোখে দেখাও ঠিক হবে না।
মিয়ানমারের পর বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় আরেকটি শিরোপা জিততে আফঈদারা নামবেন। দলের সংখ্যা চারটি বলেই গ্রুপিং পদ্ধতিতে যায়নি সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। চার দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট হবে ডাবল পদ্ধতিতে। যারা সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাবে তারাই অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ জিতে নেবে। সবকিছু মিলিয়ে নারীদের আরেকটি ট্রফি জেতার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আফঈদারা পারবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।