বাংলাদেশে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়ার পরিস্থিতির অবসানে মার্কিন কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারপারসন কংগ্রেসম্যান (রিপাবলিকান-ফ্লোরিডা) ব্রায়ান মাস্ট,
র্যাঙ্কিন মেম্বার কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট-নিউইয়র্ক) গ্রেগরি মিক্স ও কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের অন্যতম সদস্য কংগ্রেসওম্যান (ডেমোক্র্যাট-নিউইয়র্ক) গ্রেস মেং-এর হাতে ৭ জুলাই দেওয়া এক স্মারকলিপিতে কংগ্রেসের এই ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয়েছে। স্মারকলিপিটি অর্পণ করেন নিউইয়র্কের ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব’-এর সাবেক সভাপতি লাবলু আনসার। স্মারকলিপিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে ও প্রথিতযশা সাংবাদিকদের পৃথক পৃথক বিবৃতির কপি সংযুক্ত করা ছিল। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, দেশ এখন মব সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি, যা থেকে মিডিয়াও রক্ষা পাচ্ছে না। অথচ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সমর্থনে বাংলাদেশের মিডিয়াও সরব ছিল। কথিত ‘স্বৈরশাসনের অবসান’ ঘটলে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব অবাধে পালন করতে সক্ষম হবেন বলে আশা ছিল। কিন্তু ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানকারীরা এখন নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার সংবাদ মিডিয়ায় সহ্য করতে চাইছেন না। মিডিয়াকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যা রামরাজত্বের শামিল।
স্মারকলিপিতে জর্জিয়া স্টেটের সিনেটর শেখ রহমানের (যিনি কিশোরগঞ্জের সন্তান) অভিজ্ঞতার উল্লেখ করা হয়েছে। শেখ রহমান নিউইয়র্কে সম্প্রতি বলেছেন, তিনি ২ জুলাই পর্যন্ত মাসখানেক বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনটি মিডিয়া তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ছত্রছায়ায় কোনো কোনো মহল গণমাধ্যমে এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, তাঁর ওই সাক্ষাৎকার কোনো মিডিয়া প্রচার করতে সাহস পায়নি।