রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালকের (ইডি) চেয়ার দখল করাকে কেন্দ্র শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চেয়ার দখলকারী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। দুই প্রকৌশলীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এদিকে নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামকে চেয়ার থেকে জোর করে তুলে দেওয়া, দায়িত্ব হস্তান্তর কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া, অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের নামে মামলা হয়েছে। ২৩ মার্চ নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি করেন। ২৫ মার্চ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালকের চেয়ার দখল করায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে অবসরে পাঠায় সরকার। কৃষি সচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। বৃহস্পতিবার আলাদা দুটি অফিস আদেশে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা ও সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া চেয়ার দখলের ঘটনা তদন্তে সিনিয়র সহকারী সচিব উম্মুল বানীন দ্যুতি স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমামকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বিএমডিএ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরোক, মো. জাফরুল্লাহ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান।
কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম জানান, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে ঘটনার কারণ উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ, দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রদান ও বিএমডিএ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সুপারিশ প্রদান করতে বলা হয়েছে।