ছয় লেনের সম্প্রসারণ কাজ আর খানাখন্দের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক। আগে যেখানে সিলেট থেকে ঢাকা যেতে বা ফিরতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগত এখন সেখানে লাগছে ৮-১০ ঘণ্টা। ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে মহাসড়কে। ফলে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা। মহাসড়কজুড়ে খানাখন্দ ও সম্প্রসারণ কাজের জন্য চরম ভোগান্তি পড়তে হবে যাত্রীদের। গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লাগারও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চে যাত্রী ভাটা পড়লেও ঈদে চাহিদা বেড়ে যায়। আগের মতো যাত্রী না থাকায় লঞ্চ মালিকরা নিজেদের মতো রোটেশন করেছে। যার কারণে ঈদ যাত্রায় ছয়টির বেশি লঞ্চ থাকছে এ রুটে। এতে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত কেবিন সংকট দেখা দিয়েছে। লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে তাদের শতকরা ৯০ ভাগ কেবিনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়েছে। তাই যাত্রীদের ভরসা এখন ডেক।
ঢাকা থেকে ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য গত দুই দিন ধরে একটি ডাবল কেবিনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন আবদুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, যদি লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হতো তাহলে কেবিন সংকট হতো না। লঞ্চ মালিকরা তাদের লাভের জন্য যাত্রীদের হয়রানি করছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক : সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে অলিপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক এবং বেশ কয়েকটি সেতু ও কালভার্টের কাজ চলছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলারও বেশ কয়েকটি স্থানে চলছে ছয় লেনের কাজ। নির্মাণ কাজের জন্য এসব স্থানে যানবাহনকে চলতে হচ্ছে ধীর গতিতে। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে বাড়ছে ঝুঁকিও। ভোগান্তির এই মহাসড়কে এখন প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা। সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমীর হোসেন জানান, প্রতিবার ঈদের মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বাড়ে। আর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ছয় লেনের কাজ চলায় ভোগান্তি অন্যবারের তুলনায় কিছু বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
লঞ্চের কেবিনের টিকিট নেই : বরিশাল-ঢাকা রুটে এবার মোট ১৯টি লঞ্চ তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঈদের বিশেষ সেবা শুরু করেছে গত ২৫ মার্চ। যদি যাত্রী চাপ বাড়ে তাহলে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সংখ্যা ১২-১৩টিতে হতে পারে বলে লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিশেষ সার্ভিসের মধ্য দিয়ে এই রুটে যুক্ত হচ্ছে এক হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন লঞ্চ এমভি এমখান-৭। এমভি আওলাদ-১০ লঞ্চের ব্যবস্থাপক অভিজিৎ সরকার বলেন, ইতোমধ্যে কেবিনের ৯০ ভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।