ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ছয়টি খাল খননের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, আরও ১৩টিসহ মোট ১৯টি খাল খননের কার্যক্রম এ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। গতকাল সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন চলমান ছয়টি খালের খনন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এখানকার খালগুলো খননের বিকল্প নেই। খালে পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া শহরের জীববৈচিত্র?্য ঠিক রাখতে খালগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।
তিনি বলেন, দিন দিন ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার খালগুলো খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নত হবে। খননের পর খালের পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা এবং পাখিদের খাওয়ার উপযোগী ফলগাছ লাগানো হবে।
তিনি বাউনিয়া খালের সাগুফতা ব্রিজের পাশে এবং উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন খিদির খালের পাড়ে দুটি গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্থপতি ফজলে রেজা সুমনসহ ডিএনসিসি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।