ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পাপুয়া অঞ্চলে ভারি বর্ষণের ফলে একটি সোনার খনিতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের আরফাক পাহাড়ে স্থানীয়দের পরিচালিত একটি ছোট আকারের খনিতে এই ধসের ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেন, “মুষলধারে বৃষ্টির ফলে খনিশ্রমিকদের ব্যবহৃত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন এবং কমপক্ষে চারজন আহত হন।” নিখোঁজদের সংখ্যা ১৯ জন বলেও তিনি জানান।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রায় ৪০ জনের একটি দল। তাদের নেতৃত্বে কাজ করছেন স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান ইয়েফরি সাবরুদ্দিন।
তিনি বলেন, “শনিবার উদ্ধারকারীরা যাত্রা শুরু করলেও দুর্গম পাহাড়ি পথ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে রবিবার সকাল থেকে তারা অনুসন্ধান শুরু করেন।”
ভূমিধসে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়শই অবৈধ ও ছোট পরিসরের খনিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব খনির বেশিরভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় দুর্যোগ মোকাবেলা ও তদারকি কার্যক্রমে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে।
রয়টার্স আরও জানায়, গত বছর সেপ্টেম্বরে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে অবৈধ একটি সোনার খনিতে ধসে ১৫ জন প্রাণ হারান। এছাড়া গত বছরের জুলাইয়ে সুলাওয়েসি দ্বীপে আরেকটি খনি ধসে নিহত হন কমপক্ষে ২৩ জন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক