আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৩৯ হাজার ৭৬৯টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার ৪ হাজার ৫১৭টি খামারে এসব পশু প্রস্তুত করা হয় নিরাপদ মাংসের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে।
খামারগুলোতে কোনো ধরনের কেমিকেল বা অপদ্রব্য ব্যবহার না করেই গরু মোটা-তাজা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার জানান, খড়, গম ও ডালের ভূষি, ঘাস, খৈল ও কুড়া খাইয়ে পশু মোটা-তাজা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের পশুগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।
তিনি আরও জানান, প্রস্তুত গবাদিপশুর মধ্যে রয়েছে ১৯ হাজার ২৭৬টি ষাঁড়, ১১০টি বলদ, ৫ হাজার ৬৪৪টি গাভী, ১৬টি মহিষ, ১৪ হাজার ৬১৪টি ছাগল ও ৮২টি ভেড়া। পশু বিক্রি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
জেলার ৫ উপজেলায় মোট ১৫টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। হাটগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ৩টি, মুকসুদপুরে ৪টি, কাশিয়ানীতে ৩টি, কোটালীপাড়ায় ৪টি ও টুঙ্গিপাড়ায় ১টি। এসব হাটে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে ১৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
চামড়া সংরক্ষণে মাদ্রাসা ও ক্রেতাদের লবণ সরবরাহ করবে বিসিক। পাশাপাশি জাল টাকা লেনদেন রোধ ও ছিনতাই প্রতিরোধে হাটগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেন চালু করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রভাস চন্দ্র সেন জানান, পশুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ভারতসহ বিদেশি পশুর আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া নিরাপদ পরিবহনে পুলিশের সহযোগিতাও নেওয়া হয়েছে।
মুকসুদপুরের খামারি হাফিজুর রহমান বলেন, “প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে ৩০টি গরু মোটা-তাজা করেছি। খরচ বেশি হলেও ন্যায্য মূল্য পেলে লাভবান হবো।”
চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের খামারি আরিফ বলেন, “৬০টি গরু মোটাতাজা করেছি। খরচ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি হয়েছে। যদি বিদেশি গরু হাটে ঢোকে, তাহলে দেশি গরুর দাম পড়ে যাবে।” তিনি বিদেশি গরুর আমদানি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ