সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত পড়ার গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রাত হলেই চাউর হয় এ গুজব। মসজিদে মসজিদে করা হয় প্রতিরোধের মাইকিং। গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় লাঠিসোঁটা-দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শুরু হয় পাহারার আয়োজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসবের ভিডিও চিত্র প্রচার করে সর্বত্র ছড়ানো হয় আতঙ্ক। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবুও ভয়-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে উপজেলাবাসীর।
জানা গেছে, গেল গেত কয়েকদিন পূর্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে, ডাকাত পড়তে পারে মর্মে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। এরপর গত ১ মার্চ মধ্যরাতে উপজেলার মিয়ারবাজার থেকে ডাকাতির সরঞ্জামসহ একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে প্রতিরাতেই উপজেলা জুড়ে ছড়ানো হচ্ছে ডাকাত পড়ার গুজব। গ্রামে গ্রামে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে দেওয়া হয় ডাকাত প্রবেশের মিথ্যা খবর। হট্টগোল, হাঁক-চিৎকারে সৃষ্টি করা হয় এক ভীতিকর পরিস্থিতি। তখন পুরো রাত জেগে পাহারা দেন সবাই।
সচেতন মানুষেরা বলছেন, প্রতিরাতেই শুনি এ গ্রাম-ওই গ্রামে ডাকাত এসেছে। গত রাতে ডাকাতি হয়েছে অমুক-তমুক এলাকায়। কিন্তু পরে আর এসব খবরের সত্যতা পাওয়া যায় না। এগুলো সবই গুজব। এর আড়ালে কী হচ্ছে? বা হবে? সে বিষয়ে থানা পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে গুজব যারা রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-কে বলেন, আতঙ্কিত হয়ে কাউকে লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুলিশ যথানিয়মে তার দায়িত্ব পালন করবে। একটি দুষ্টুচক্র রাতদুপুরে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এগুলো যারা করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল