ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা নগরীতে রাতের অন্ধকারে জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল নির্বিচার বোমা হামলা এবং অসংখ্য নারী-পুরুষ, নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। পাশাপাশি অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববাসীকে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের পাশে সাহায্য নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার।
সাদা দলের নেতারা বলেন, ফিলিস্তিন একটি অতি প্রাচীন ও স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র। কিন্তু বেআইনি ও দখলদার ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল সেখানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে ফিলিস্তিনের মানচিত্র মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, এমনিতেই দীর্ঘ ১৫ মাসের টানা যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে মৃত্যু উপত্যকা বানিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের গাজাসহ কয়েকটি অঞ্চল যেন বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত। সর্বশেষ গত সোমবার ভোরে পবিত্র রোজার মাসে যেভাবে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বোমা হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা নিঃসন্দেহে গণহত্যা। অসংখ্য মানুষ ও নিষ্পাপ শিশুর মৃতদেহ দেখার মতো নয়। আহতরা বীভৎস চেহারা নিয়ে কাতরাচ্ছেন। ঠিকমতো চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। ইসরাইলের এমন বেআইনি ধ্বংসযজ্ঞ অমার্জনীয় অপরাধ।
ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিলেও তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা রাষ্ট্র আমেরিকা ও ইসরায়েল একেবারেই যেন বধির। অবরুদ্ধ গাজাবাসীর আহত মানুষের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে দুনিয়ার আকাশ। প্রতিদিনই ইসরায়েলের বেআইনি বোমা হামলায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। তছনছ হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের বাড়ি-ঘর ও আসবাবপত্র। ফিলিস্তিনিদের সামনে যেন দুঃসহ বিপদ। ঠিক মতো দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে জীবন ধারণই তাদের এখন হুমকির মুখে।
নেতারা বলেন, এমন অবস্থায় আমরা বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানাব, তারা যাতে দখলদার ও বেআইনি রাষ্ট্র ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। সেইসঙ্গে বহুজাতিক সংগঠন জাতিসংঘকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়ে তা রক্ষায় নিশ্চিত করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ