যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া আফগান নারী ফুটবলাররা ফিফার অনুমোদিত আফগান নারী শরণার্থী দলের নির্বাচনি ক্যাম্পে সুযোগ পাচ্ছেন না। নিরাপত্তা জটিলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ফিফা।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর দেশটিতে নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ হয়। এরপর ফিফা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় শতাধিক নারী ফুটবলার ও তাদের পরিবার বিদেশে আশ্রয় নেয়। চলতি বছরের মে মাসে ফিফা ‘আফগান নারী শরণার্থী দল’ গঠনের স্বীকৃতি দেয়, যার সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়প্রাপ্ত সাবেক আফগান ফুটবলার।
ফিফা ইতোমধ্যে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী খেলোয়াড়দের জন্য এখনো কোনো ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে বসবাসকারী অন্তত ১০ জন আফগান নারী ফুটবলারের মধ্যে একজন, সাবেক অনূর্ধ্ব-১৭ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় জাহরা সুলতানি বলেন, ‘ফুটবল আমার পরিচয়, আমার স্বাধীনতা। ক্যাম্প বাতিলের খবর আমাকে ভেঙে দিয়েছে।’
প্রথম আফগান নারী জাতীয় দলের সদস্য সোদাবা খানজানি বিষয়টিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের কোনো পার্থক্য নেই। আমরা অবহেলিত ও অপমানিত বোধ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আরেক খেলোয়াড় নিলোফার মুমতাজ বলেন, ‘চার বছর ধরে পরিবার ছাড়া আছি। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে ক্যাম্প হচ্ছে, অথচ আমাদের জন্য নয়। আমরা কাঁদছি, কিন্তু লড়াই চালিয়ে যাব।’
ফিফার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও সুস্থতা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনি ও লজিস্টিক জটিলতা বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খেলোয়াড়দের ভবিষ্যতে ক্যাম্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ