আজকাল অনেকেই ধীরগতিতে চুল গজানো কিংবা অকালে চুল ঝরে যাওয়া নিয়ে ভীষণ চিন্তিত থাকেন। এর অবশ্য নানা কারণও রয়েছে যেমন: পরিবেশ দূষণ, পানিবাহিত সমস্যা এবং অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল ইত্যাদি। তবে এর সমাধানও আছে প্রকৃতির কাছেই। তেল হলো একধরনের প্রাকৃতিক ঔষধ, যা নিয়মিত ব্যবহারে ও হালকা ম্যাসাজের মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
নারিকেল তেল : নারিকেল তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করে এবং ভাঙা রোধ করে। এতে লরিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাথার ত্বককে পুষ্ট করে এবং গোড়া শক্ত করে।
ক্যাস্টর তেল (অড়হর তেল) : ক্যাস্টর তেল মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এর রিচিনোলেইক অ্যাসিড, ভিটামিন-ই এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া কমায়।
রোজমেরি তেল : রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মাথার ত্বকে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুল পাতলা হওয়া এবং টাকপড়া রোধে প্রমাণিত।
ভৃংরাজ তেল : এই আয়ুর্বেদিক তেলটি ভৃংরাজ গাছের পাতা নারকেল তেলে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। এটি চুলের গোড়া পুনরুজ্জীবিত করে, আগাম পাকা চুল রোধ করে এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করে।
পিঁয়াজ বীজের তেল (কালোজিরার তেল) : পিঁয়াজ বীজের তেল সালফারে সমৃদ্ধ, যা কেরাটিন তৈরিতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী করে, মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল উন্নত করে এবং পাতলা স্থানে চুল গজাতে সহায়তা করতে পারে।
আরগান তেল : ‘তরল সোনা’ নামে পরিচিত এই তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি শুষ্ক মাথার ত্বক এবং দুর্বল চুল গভীরভাবে পুষ্ট করে।
বাদাম তেল : এই তেল ম্যাগনেসিয়াম, বায়োটিন, ভিটামিন-এ এবং ই সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের ডগা ফাটার সমস্যা কমায়।
আমলা তেল : আমলকী থেকে তৈরি তেল চুলের শক্তিশালী টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়ায়।
নিয়মিত ব্যবহারে এই তেলগুলো প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধি উন্নত করতে পারে।