কয়েক দিন ধরে দেশে আলোচনায় সিলেটের সাদাপাথর। লুটেরা চক্র এখান থেকে লুটে নিয়েছে কয়েক শ কোটি টাকার পাথর। সাদাপাথরের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য পরিণত হয় ধু-ধু বালুভূমিতে। পাথরশূন্য পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের যাওয়া নিয়ে তৈরি হয় শঙ্কা। সব শঙ্কা উড়িয়ে সাদাপাথরমুখী হয়েছে পর্যটক। গত দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় বিপুল পর্যটক সাদাপাথর বেড়াতে যায়। একদিকে যেমন উপভোগ করেছে সৌন্দর্য, তেমন নানাভাবে পাথর লুটের প্রতিবাদও জানিয়েছে তারা। দাবি জানিয়েছে সব পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য রক্ষায় সরকারকে সচেতন হওয়ার।
সরেজমিনে সাদাপাথর ঘুরে দেখা যায়, শুক্র ও শনিবার পর্যটকের সমাগমে সরব হয়ে উঠেছে সাদাপাথর। কেউ পাথর বিছানো ধলাই নদীর স্বচ্ছ জলে উচ্ছ্বাস করছে, কেউ ছবি তুলছে। লুটের পরও সাদাপাথরের সৌন্দর্য শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করছে তারা। কয়েক দিন ধরে লুণ্ঠিত সাদাপাথর উদ্ধারে একদিকে চলছে অভিযান, অন্যদিকে চলছে জব্দ পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ। নৌকায় করে এনে শ্রমিকরা ফেলছেন পাথর। কাজ তদারকির জন্য স্কাউট কর্মীদের নিয়োগ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পর্যটক ফিরতে শুরু করায় খুশি পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সিলেটের (টোয়াস) আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর লিটন বলেন, ‘সাদাপাথরে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। যতই পাথর প্রতিস্থাপন করা হোক, তা প্রকৃতির মতো সুনিপুণ করা সম্ভব নয়। অন্য সব পর্যটন কেন্দ্র রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হতে হবে।’