ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি বড় সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই আক্রমণে বিমানবন্দরটির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ ইসরায়েলিকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি রবিবার এক টেলিভিশন বিবৃতিতে এই হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গাজার নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে, গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং ইয়েমেনের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
সারি বলেন, এই হামলায় 'ফিলিস্তিন-২' নামের একটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। এতে বিমানবন্দরের আকাশপথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং লক্ষ লক্ষ ইসরায়েলি নাগরিককে সাইরেনের সতর্কবার্তা শুনে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়।
ইসরায়েলের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি তারা শনাক্ত করতে পেরেছিল। এর পরপরই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে, যার মধ্যে তেল আবিব এবং আল-কুদসও রয়েছে, জরুরি সাইরেন বাজানো হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়।
গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতায় প্রায় ২০০টিরও বেশি স্থানে সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলের সামরিক সম্প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যা প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় একটি করে।
সূত্র: আল মায়াদিন
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল