ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর আইআরজিসি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যেকোনো শত্রুকে পরাজিত করতে এবং তাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। ১৯৮০-এর দশকে সাদ্দাম হোসেনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের পর থেকে ইরান তার শত্রুদের সাথে প্রতিটি সংঘর্ষে সফলভাবে মোকাবেলা করেছে বলে দাবি করেছে বাহিনীটি।
রবিবার আইআরজিসি এক বিবৃতিতে ইরাক যুদ্ধের মুক্ত বন্দিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বার্ষিকী উপলক্ষে এই মন্তব্য করে। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ইরানি জাতি অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস এবং অসীম শক্তির উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে। তারা তাদের ভূমি, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে যেকোনো শত্রু এবং যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ পরিকল্পনা গুঁড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।
আইআরজিসি সাবেক যুদ্ধবন্দিদের সক্রিয় প্রতিরোধ এবং কৌশলগত আশার আসল প্রতীক হিসাবে প্রশংসা করেছে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, এই সাবেক সেনাদের বিজয় শুধু আট বছরের যুদ্ধের ক্ষেত্রেই নয় বরং জুনে ইসরায়েল-আমেরিকার আগ্রাসন প্রতিহত করার ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হয়েছে।
আইআরজিসি জানায়, ইরানি সশস্ত্র বাহিনী জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে ইরাকি আগ্রাসকদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল। একইসাথে, তারা ইসরায়েলি সরকারকে ২৪শে জুন যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করতে বাধ্য করে, যদিও ইসরায়েল আমেরিকার অভূতপূর্ব সমর্থন পাচ্ছিল।
আইআরজিসি আরও বলেছে, এই বিজয়ের একই মানসিকতা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের শক্তির মধ্যেও বিদ্যমান এবং এর মাধ্যমেই পশ্চিম এশিয়াজুড়ে ইসরায়েলি শাসন ও তাদের আমেরিকান মদদদাতারা বারবার পরাজিত হচ্ছে।
আইআরজিসি সাবেক সেনাদের দৃঢ়তার প্রশংসা করে জানায়, তাদের এই প্রতিরোধ প্রমাণ করে যে, বিশ্বাস, জাতীয় ঐক্য এবং বিপ্লবী দৃঢ়তার শক্তি বড় বড় যুদ্ধযন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী নীতিকেও নতজানু করতে পারে।
বিবৃতিতে আইআরজিসি আরও অঙ্গীকার করে যে, তারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনি, বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং ইরানি জাতির আদর্শের প্রতি অবিচল থাকবে।
সবশেষে, আইআরজিসি ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, পশ্চিমা-সমর্থিত ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং আমেরিকান সামরিক দুঃসাহসিকতা থেকে আঞ্চলিক জনগণ শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাবে। তারা বিশ্বাস করে যে, এই মুক্তি প্রতিরোধের ভূগোলকে চূড়ান্ত বিজয়ের দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত করবে।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল