রাজশাহী মহানগরীর বিমান চত্বর হয়ে বারোরাস্তার মোড়। দৃষ্টিনন্দন সড়কটির দুই পাশ বিকাল হলেই দখল হয়ে যাচ্ছে। ফুটপাত ও সড়কের অর্ধেক দখল করে বসানো হয় ফাস্টফুডের বিভিন্ন দোকান। প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই দোকানগুলো খোলা থাকে। ফলে ঘটে দুর্ঘটনা।
ওই সড়ক হয়ে বিহাস এবং অক্ট্রয় মোড়ে আসতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ফ্লাইওভার। বিকালের পর ফ্লাইওভারগুলোতেও বসানো হয় দোকান। ফলে ওই পথ ব্যবহার করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। বুধপাড়া এলাকার তরিকুল ইসলাম জানান, আগে দুই-তিনটি দোকান বসত ফ্লাইওভারে। এখান দুটি ফ্লাইওভারের দুই পাশে শতাধিক দোকান বসে। বারোরাস্তার মোড়ের খবির উদ্দিন বলেন, ফুটপাতে দোকান আর সড়ক দখল করে চেয়ার পেতে মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে যানবাহন চলাচল করতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, তিনি থানায় নতুন যোগদান করেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। কেউ চলাচলের পথ বন্ধ করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নগরীর ভদ্রায়ও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ মোড়েও পা ফেলার জায়গা নেই। গড়ে উঠেছে কয়েক শ দোকান। দেখা যায়, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের কাদিরগঞ্জে দক্ষিণ পাশের রাস্তার ওপর কয়েকজন শ্রমিক পাশের একটি ভবন নির্মাণের জন্য বালু, সিমেন্ট ও ইটের খোয়া মেশানোর কাজ করছেন। রাস্তার দক্ষিণ পাশের ফুটপাতটিও দখল করে সেখানে রাখা হয়েছে ইট ও খোয়া। ফলে ওই স্থান দিয়ে হেঁটে যাওয়া দুষ্কর পথচারীদের। নিউমার্কেট এলাকার পূর্বপাশের ফুটপাতটি দখল করে ফের গড়ে উঠেছে দোকানপাট। কয়েক বছর আগে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও আবার স্যান্ডেল ও মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা দোকানপাট গড়ে তুলেছেন। রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, শিরোইল বটতলা কাঁচাবাজার এলাকা, তেরোখাদিয়া বাজার এমনকি বিসিক শিল্পনগরীর ফাঁকা জায়গা দখল করেও গড়ে উঠেছে ফল, কাপড়, স্যান্ডেল ও চায়ের দোকান এবং হোটেল-রেস্টুরেন্ট। ফলে জনগণকে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফুটপাত দখল সম্পর্কে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘নানান কারণে রাজশাহী মহানগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। আবার দোকানপাটও গড়ে উঠছে নতুন নতুন। এর জন্য স্থানীয়রাই দায়ী। এগুলো বন্ধ করতে ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। আরও অভিযান চালানো হবে।’