এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারে এবং ফ্লাইওভারের কিছু অংশে পর পর গার্ডার জোড়া লাগানো হয়েছে। জোড়া কিংবা ফ্লাইওভারের কোনো কোনো জায়গায় ফাঁকও আছে। বৃষ্টির সময় এসব ফাঁক দিয়ে নিচে পানি পড়ে। ফলে পথচারীদের বৃষ্টির পানিতে ভিজে চলতে হয়।
চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মুরাদপুর ফ্লাইওভারের নিচে বৃষ্টির সময় পথচারীদের চলাফেরায় নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এক্সপ্রেসওয়ে এবং ফ্লাইওভার থেকে বৃষ্টির পানি নিচে পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির সময় পথচারীদের ভিজে ভিজে এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারের নিচে পথ চলতে হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ফ্লাইওভারের দুটি নির্মাণ করে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারে এবং ফ্লাইওভারের কিছু অংশ পর পর গার্ডার জোড়া লাগানো হয়েছে। জোড়া কিংবা ফ্লাইওভারের কোনো কোনো জায়গায় ফাঁকও আছে। বৃষ্টির সময় এসব ফাঁক দিয়ে পানি পড়ে নিচে। ফলে পথচারীদের বৃষ্টির পানিতে ভিজে ভিজে চলতে হয়। ছোট যানবাহনগুলোকে পানির ধকলটা বেশি পোহাতে হয়। গত রবিবার দুপুরে লালখানবাজার থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি পড়ার চিহ্ন। এ সব জায়গায় বৃষ্টির সময়ও পানি পড়ে পথচারীদের ভিজতে হয়। তা ছাড়া, সিমেন্ট ক্রসিং, সল্টগোলা, ইপিজেড এলাকায় ফ্লাইওভারের পানি নিজে পড়ে নালায় যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে চলাচল করতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
লালখানবাজার এলাকার বাসিন্দা কফিল উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির সময় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে পানি পড়ে। ফলে এ সময় পথচারীদের হাঁটার সময় ভিজতে হয়। কিছু জায়গায় পানি পড়ার জন্য পাইপ ব্যবহার করা হলেও তা কাজে লাগে না। কর্তৃপক্ষের এসব বিষয় নিয়মিত তদারকি করা উচিত। চউকের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ফ্লাইওভারে প্রয়োজনীয় স্থানে পাইপ দিয়ে পানি পড়ার ব্যবস্থা আছে। হয়তো কোথাও পাইপ নষ্ট বা ছিদ্র হয়ে পানি পড়ে। তা ছাড়া, কিছু কিছু জায়গায় ফাঁক দিয়েও হয়তো পানি পড়ে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এটি চলমান একটি প্রক্রিয়া। জানা যায়, চউক চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তম আখতারুজ্জামান চৌধুরী (মুরাদপুর-লালখান বাজার) ফ্লাইওভারটি ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। নগরের যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়।