মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে অন্য দেশের ‘সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ) বা রাষ্ট্রগঠনের’ নীতি অনুসরণ করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির সমাপ্তি ঘটানো হয়েছে। সূত্র : এপি, রয়টার্স।
স্থানীয় সময় ৩১ অক্টোবর বাহরাইনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তুলসী গ্যাবার্ড এ কথা জানান। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইআইএসএস) এ সংলাপের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে তুলসী গ্যাবার্ড উল্লেখ করেন, আগে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণ। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তা পরিবর্তিত হয়ে ‘অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা’কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওয়াশিংটনের বিগত সময়ের চিন্তাপদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে আটকে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ) বা জাতি গঠনের এক ধরনের ব্যর্থ চক্রে আটকে ছিল। এটি ছিল ‘সবার জন্য প্রযোজ্য’ এমন একটি নীতি, যেখানে সরকার উৎখাত করা, অন্য দেশে আমাদের শাসনব্যবস্থা চাপানোর চেষ্টা করা এবং তেমন জানাশোনা ছাড়াই নানা সংঘাতে হস্তক্ষেপ করা এবং মিত্রের চেয়ে বেশি শত্রু তৈরি করে চলে আসা। হাওয়াইয়ের সাবেক কংগ্রেস সদস্য এবং ইউএস আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক সদস্য তুলসী গ্যাবার্ড আরও বলেন, ‘এমন নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, অগণিত মানুষের প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে বৃহত্তর নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়েছে, আইএসআইএসের (ইসলামিক স্টেট) মতো ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর উত্থান হয়েছে।’
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের নীতি এখনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উল্লেখ করে গ্যাবার্ড বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো ‘ভঙ্গুর’। এদিকে ইরান সম্প্রতি পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন কার্যক্রম শুরু করেছে। সুতরাং সামনের পথ সহজ বা সরল হবে না। তবে ট্রাম্প এ পথে চলতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।