ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। ইজতেমা করতে গেলে অনেক মানুষের সমাগম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত থাকার বিষয় আছে। এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইজতেমা হবে নির্বাচনের পর।
ইজতেমা পেছানোর বিষয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে এত বড় একটা সমাবেশ, যেখানে বিদেশি মেহমানরাও থাকেন। এই ঝুঁকিটা নেওয়া উচিত হবে না মনে করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা আরও জানান, ইজতেমা যে নির্বাচনের পরে হবে, সেই বিষয়ে উভয়পক্ষ তিন উপদেষ্টার সামনে সম্মতি দিয়েছেন।
খালিদ হোসেন বলেন, নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে হয়, এরপর রমজানে তো আর হচ্ছে না, হয়তো রমজানের পর (ইজতেমা) হবে। তবে দুই পক্ষ কবে ইজতেমা করবে, সে সিদ্ধান্ত দুই পক্ষের সঙ্গে বসে নিতে হবে। তবে নির্বাচনের পর সুবিধাজনক সময়ে তারিখ নির্ধারিত হবে। সময় এখনো ঠিক হয়নি। দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা করবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে, ইজতেমা একসঙ্গে হওয়ার সুযোগ নেই। আলাদাই করতে হবে। নন্দিত ধর্মীয় বক্তা ড. জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ডা. জাকির নায়েককে যারা আনতে চাচ্ছেন তাদের একটি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে অবহিত নন। কোনো বিদেশি মেহমান যখন আসে, তখন এটি পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে থাকে। ওনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তার (জাকির নায়েক) ব্যাপারে। ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে আমি এ বিষয়ে কোনো এখতিয়ার রাখি না। সিদ্ধান্ত আমি দিতে পারি না।