শুধু আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্যই মোহাম্মদ আশরাফুলকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। সিরিজ শেষ হওয়ার পর তার কাজ শেষ। আইরিশদের বিপক্ষে দুটি টেস্টে সাজঘরে বসে দেখেছেন টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে কম বয়সি সেঞ্চুরিয়ান। দেখেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরি। আবার সেঞ্চুরি মিস দেখেছেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হকের। বিশেষ করে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক সিলেট ও মিরপুরে দুটি সেঞ্চুরি মিস করেছেন। ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন জয়। টাইগার ব্যাটারদের এই ব্যর্থতা একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে, বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না ব্যাটাররা। যা অহরহ করেছেন টেন্ডুলকার, সাঙ্গাকারা, জো রুটরা। টাইগার ব্যাটাররা কেন পারছেন না বড় বড় ইনিংস খেলতে? এর ব্যাখ্যায় আশরাফুল বলেন, ‘এটা অভ্যাসের বিষয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে খেলে আপনাকে বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস করতে হবে। যা আমাদের ব্যাটারদের নেই। টেস্ট ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলতে হলে আপনাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলতে হবে।’ মুমিনুল সিলেটে খেলেছেন ৮২ রানের ইনিংস। মিরপুরে খেলেন ৬৩ ও ৮৭ রানের ইনিংস। সাবেক অধিনায়কের সুবর্ণ সুযোগ ছিল সিলেট ও মিরপুরের হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস দুটিকে সেঞ্চুরি করা। কিন্তু পারেননি। টাইগার ব্যাটিং কোচ অবশ্য এ নিয়ে চিন্তিত নন। কেননা তিনি মনে করেন, মুমিনুলের প্রসেসটা ঠিক আছে, ‘আমি এ বিষয়ে মুমিনুলের সঙ্গে কথা বলেছি। সে রান নিয়ে চিন্তিত নয়। সে সময় ব্যয় করছে, রান করার প্রসেস ঠিক আছে কি না, সেটা জানতে। আমার মনে হচ্ছে, সে সন্তুষ্ট রান করার প্রসেস নিয়ে।’ ক্যারিয়ারে মুমিনুল ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। যার ৯টি ছিল ৭০ রানের ওপরে। সাতটি ছিল ৮০ রানের ঘরে। দলে তাকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে কতটা গ্রহণ করেছে, সে প্রশ্নের উত্তরে আশরাফুল বলেন, ‘দলের সবাই আমাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আমি চেষ্টা করছি তাদের আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে। এই লেবেলে টেসকিন নিয়ে কাজ করার কিছু নেই। মানসিকভাবে সহায়তা করাই মূল কাজ।’