রংপুর অঞ্চলে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা-মাড়াই। ধানের ভালো ফলনে কৃষকের গোলাও ভরে উঠছে। তবে এবার বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম। গত বছর মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ২৫০ টাকায়। এবার বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা কমে। পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।
রংপুরে গত ১০ বছরে আমন ধানের আবাদ বেড়েছে ৩৭ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। উৎপাদন বেড়েছে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। চলতি মৌসুমে উৎপাদন বাড়লেও দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক। রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার কৃষক গৌরাঙ্গ রায়, আসাদ, তাজিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন জানান, গত বছর তারা মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ আমন ধান বিক্রি করেন ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে। মৌসুম শেষে বিক্রি করেন ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে। এবার শুরুতেই গত বছরের তুলনায় দাম কমেছে মণপ্রতি ১৫০ টাকার বেশি। তাদের আশঙ্কা, পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই চললে ধানের দাম আরও কমে যেতে পারে। প্রতি মণ হাজার টাকার নিচে নেমে গেলে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার ধান-চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার প্রতি মণ ধান ১৫০-২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন এই ব্যবসায়ী। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ২০ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬ লাখ সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে ২০ লাখ ১০ হাজার টনের বেশি।
যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন করে এবার আলু চাষিরা লোকসান গুনছেন। তবে ধানের দাম বাড়বে এবং লোকসানের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।