রাজশাহীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মাহফুজুর রহমানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মা এবং ভাতিজাকে অবরুদ্ধ করে ল্যাপটপ ও ব্যাংকের চেকসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। আক্রান্তরা পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরীর সপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিমানবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বর্তমানে বিমানবাহিনীর চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত আছেন। তার মা মুর্শেদা খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত এবং ভাতিজা আমানুল্লাহ আমান সাংবাদিকতা করেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মামলার বাদী রাবির সহকারী রেজিস্ট্রার মুর্শেদা খাতুন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৫৫ মিনিটে আমার নাতির ঘুম ভাঙে। সে আমার রুমে একজনকে দেখতে পায় এবং চোর বলে চিৎকার দেয়। তখন ওই ব্যক্তি আমার ঘর থেকে দৌঁড়ে বের হয়। ডাইনিংয়ে রাখা আমাদের বাসার চাবিটি আগেই সে নিয়েছিল। ঘর থেকে বের হয়ে ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে। আর চাবি দিয়ে বাসার নিচতলায় মেইন দরজা খুলে পালিয়ে যায়। বাসার বাইরে নিচে তার আরও সহযোগী ছিল। এ সময় একটি ল্যাপটপ, দুটি ব্যাগ, নগদ টাকা ও দুটি চেক বইসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আতঙ্কিত অবস্থায় আমরা ড্রয়িং রুমে টেবিলের ড্রয়ার ও নানা কাগজপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখি। টেবিলের ওপর একটি ধারালো বঁটিও (হাঁসুয়া) রাখা ছিল। আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় ৯৯৯-এ কল করি এরপর পুলিশ এসে বাইরে থেকে গেট খুলে আমাদের উদ্ধার করে।’