দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধীর ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপকর্ম করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় রিফাত রশিদ বলেন, সারা দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি বেড়ে গেছে। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম-আমরা এগুলো রুখে দেব। কিন্তু এ কমিটিগুলোতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রভাবে বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এ কমিটিগুলো যখন গঠন করা হয়েছিল, সে কমিটি গঠনে দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের ভিতরে চলে গেছেন সেহেতু তাদের শেল্টার পেয়ে জুলাই যোদ্ধারা বিপথগামী হয়েছেন। এ মুহূর্তে তাদের কন্ট্রোল করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সব কমিটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, বৈষম্যবিরেধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সারা দেশে নানা অপকর্ম, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে। আমরা এসব বরদাস্ত করব না। আমরা জুলাই গণ অভ্যুত্থানকে ধারণ করে এ সংগঠনটি চালিয়েছি। আজকের পর থেকে বৈষম্যবিরোধীর ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপকর্ম করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রিফাত রশিদ। রাজধানীর গুলশানে সাবেক একজন সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেনসহ (মুন্না) তিন নেতা এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এক নেতাসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন এই সিদ্ধান্ত জানাল সংগঠনটি।