টি-২০ ক্রিকেটে ২০০-ঊর্ধ্ব রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল পারেননি লিটনরা। পাকিস্তানকে হারাতে ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি করতে হতো বাংলাদেশকে। এমন পর্বতসমান টার্গেট টপকাতে ব্যক্তিগত লম্বা একটি ইনিংস দরকার ছিল। কিন্তু টাইগার ব্যাটারদের কেউই ৫০ রানের কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। পারেননি বলেই লাহোরের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি হেরে গেছেন ৩৭ রানে। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
জয়ের জন্য টার্গেট ২০২ রান। অধিনায়ক লিটনের ৩০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮, ওপেনার তানজিদ তামিমের ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ এবং জাকের আলি অনীকের ২১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রানে ভর করে ১৯.২ ওভারে ১৬৪ রান করেন টাইগাররা। লিটন বাহিনীকে একাই হারিয়ে দেন হাসান আলি ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করে। তাঁর স্পেল ৩.২-০-৩০-৫। পুনরায় নেতৃত্ব পাওয়ার পর টানা চার ম্যাচে টস হারেন লিটন। আমিরাতের বিপক্ষে টানা তিন টস হারের পর গতকালও হারেন। ম্যাচের দারুণ শুরুটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি টাইগাররা। প্রথম ৮ বলে ৫ রানের মধ্যে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও সাইম আইয়ুবকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মেহেদি হাসান ও শরিফুল ইসলাম। পরে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন স্বাগতিক অধিনায়ক সালমান আগা, হাসান নাওয়াজ ও শাদাব খান। সালমানের ৫৬ এবং নাওয়াজের ৪৪ ও শাদাবের ৪৮ রানে ভর করে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০১ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো দুই শর ওপর স্কোর করেছে পাকিস্তান। ২০০৮ সালে করাচিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৩ রান করেছিল স্বাগতিকরা। ২০১৬ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টি-২০ বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে ২০১ রান করেছিল পাকিস্তান। দুটি ম্যাচই হেরেছিল বাংলাদেশ।