দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে চারজন নিহত হয়েছেন এবং নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে দুইজনের বয়স ৮০-র বেশি। এদের একজন বাড়ির বেইজমেন্ট থেকে বৃষ্টির পানি সরানোর চেষ্টা করছিলেন বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। গাড়ির ওপর একটি দেয়াল ধসে পড়ার ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তি চাপা পড়ে মারা যান। মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে গাড়িটি ‘ভেসে যাচ্ছে’ বলে জানিয়েছিলেন। চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
গোয়াংজু শহরের এক ক্যাফে মালিক কিম হা-মিন বলেন, “আমি বুঝতেই পারছিলাম না, এমন কিছু কীভাবে সম্ভব!” তিনি জানান, জীবনে প্রথমবার এত ভারী বৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছেন।
এই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার আবহাওয়া-সংক্রান্ত দুর্যোগ সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে।
দেশটির পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর সিওসানে মাত্র ১২ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা আবহাওয়া অফিস ‘শতাব্দীর একটি ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়ি ও বাড়িঘর পানিতে ডুবে আছে, আর আসবাবপত্র ভেসে বেড়াচ্ছে।
গোয়াংজুর বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী কিম বলেন, “আমার আশেপাশে কোনো নদী বা খাল নেই, তাই এখানে কখনো বন্যা হয়নি। এবার এত ভয় পেয়েছি!” তাঁর ক্যাফেটিও ডুবে যাওয়ায় তা বন্ধ রাখতে হয়েছে। তিনি জানান, “আমি পানি সরিয়েছি, কিন্তু নর্দমার গন্ধ এতটাই বাজে যে দোকান খোলা সম্ভব নয়।”
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম