বছরের পর বছর ধরে অভিযাত্রীদের ফেলে দেওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার, খাবারের প্যাকেট, তাঁবু ও অন্যান্য বর্জ্যে মাউন্ট এভারেস্ট পরিণত হয়েছে আবর্জনার স্তূপে। আবর্জনা নষ্ট করছে এভারেস্টের সৌন্দর্য। তাই ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের বর্জ্য।
প্রায় ৬ হাজার ৬৫ মিটার বা ১৯ হাজার ৮৯৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এভারেস্টের ক্যাম্প ওয়ান থেকে আবর্জনা এখন ড্রোনের সাহায্যে বেজক্যাম্পে নামানো হচ্ছে। ক্যাম্প ওয়ান থেকে বেজক্যাম্প প্রায় ৭০০ মিটার নিচে। এ সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন।
এভারেস্টে আবর্জনা সংগ্রহ করে সাগরমাথা পলিউশন কন্ট্রোল কমিটি। তারা জানিয়েছে, 'এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি ড্রোনগুলো ২৮০ কিলোগ্রামের বেশি আবর্জনা সরিয়েছে এভারেস্টের চূড়া থেকে।’ এভারেস্ট এত আবর্জনায় জমেছে যে এটিকে এখন ‘বিশ্বের আবর্জনার সর্বোচ্চ স্তূপ’ বলা হচ্ছে। ড্রোন ব্যবহারের ফলে কাজ দ্রুত হচ্ছে। বহু বছর ধরে ভারী আবর্জনা বহনের যে বিপদ শেরপাদের ছিল, তা–ও কমছে।
২০১৯ সাল থেকে নেপালি সেনাবাহিনী ও শেরপারা মিলে পাহাড় ও এর আশপাশের কিছু চূড়া থেকে ১০০ টনের বেশি বর্জ্য সরিয়েছেন।
৩৩ বছর বয়সী শেরপা লাকপা নুরু ১৫ বার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন। তিনি জানান, ‘আমরা খুব খুশি। সাধারণত আমাদের দল যে আবর্জনা বয়ে আনত, এ বছর তার প্রায় ৭০ শতাংশই ড্রোনের মাধ্যমে নামানো হয়েছে। ক্যাম্প ওয়ান থেকে নামার সময় যখন তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন আবর্জনার দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। এ গন্ধের কারণে কিছু শেরপার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। আমরা আরও বেশি ওজন বহন করতে পারে, এমন ড্রোন চাই।’
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এভারেস্ট পরিষ্কার করা আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, বরফ গলে যাওয়ায় কয়েক দশক ধরে জমে থাকা পুরোনো আবর্জনাগুলো বেরিয়ে আসছে। এই আবর্জনাগুলো নিচের গ্রামগুলোর পানি দূষিত করতে পারে। এতে কলেরার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে সেখানে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন