কাতার বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে তাও প্রায় আড়াই বছর। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ ঘিরেই ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিশ্বকাপে খেলার জন্য পাওয়া বোনাস থেকে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে অর্থ উপহার দেন এমবাপ্পে। তারা ছিলেন ফ্রান্স দলকে ঘিরে থাকা নিরাপত্তা দলের সদস্য। তবে এই উপহার এখন উল্টো ওই পুলিশ সদস্যদের জন্য ডেকে এনেছে বিপদ।
ফ্রান্সের অর্থনৈতিক লেনদেন নজরদারি সংস্থা ট্র্যাকফিন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, মোনাকোভিত্তিক একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়ে, যা তাদের কাছে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে হয়েছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় পুলিশের মহাপরিদর্শক দপ্তর (আইজিপিএন) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি সামনে এনেছে ফ্রান্সের পরিচিত ব্যঙ্গাত্মক ও অনুসন্ধানী সাপ্তাহিক পত্রিকা লা কানার আঁশেনে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেও শিরোপা হাতছাড়া হয় এমবাপ্পের। এরপর তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে উপহার দেন মোট ১ লাখ ৮০ হাজার ৩০০ ইউরো। এর মধ্যে চারজন কর্মকর্তাকে ৩০ হাজার ইউরো করে দেওয়া হয়, আর তাঁদের কমান্ডার পান ৬০ হাজার ৩০০ ইউরো।
এমবাপ্পে পরবর্তী সময়ে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানান, বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া বোনাসের একটি অংশ তিনি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে উপহার হিসেবে দিয়েছেন।
তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এই লেনদেন কর কর্তৃপক্ষের কাছে কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেটিকে ঘিরে। সবচেয়ে বেশি টাকা পাওয়া পুলিশ কমান্ডারকে এমবাপ্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ তিনি ফ্রান্সের ভক্লুস শহর এবং এমবাপ্পের পিতৃভূমি ক্যামেরুন সফরেও তাঁর সঙ্গী ছিলেন।
পত্রিকাটির দাবি, এমবাপ্পে বিশ্বকাপ বোনাসের বাকি অংশ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার লিখিত ঘোষণা তাঁর স্বাক্ষরিত একটি নথিতে রয়েছে।
এই নথি সত্যি প্রমাণিত হলে এমবাপ্পে যে কোনো আইনি জটিলতা থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন। তবে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাপারে তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। সূত্র: গোল
বিডি প্রতিদিন/নাজিম