ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম না নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘... তবে এখন আসতে না পারলেও ভারত সরকার আমাদের কয়েকজন অতিথিকে এখানে রেখে দিয়েছে। আমি কি না বলেছি? এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। ভারত সরকারের অন্য কারণও থাকতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ বিপদে পড়েছে কই আমরাতো কখনো বলি না। তবে আপনারা কেন বলবেন যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি হয়ে গেল? বাংলাদেশে যারা আগে জন্মেছিল তারা অবিভক্ত ভারতে ছিল। এটা ভালো করে বুঝতে হবে, তাদের কথা বলার সেই অভ্যাসটা এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু তাই বলে তারা বাংলাদেশি নয়। বরং তারা খুব বেশি করে ভারতীয় নাগরিক।’ গতকাল কলকাতার কাছে নিউটাউনে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মমতা।
দিল্লিসহ বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে তকমা লাগিয়ে দেওয়া, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নিয়েও ফের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর প্রশ্ন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললেই হয় বাংলাদেশি না হয় রোহিঙ্গা তকমা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা কোথা থেকে এলো? রোহিঙ্গারা তো মিয়ানমারের বাসিন্দা। ওরা কোথা থেকে বাংলা ভাষা জানল? যারা এই অভিযোগ তুলছেন তারা কি একবারও বুঝবেন না। তা ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ চ্যাপ্টার গত ১৯৭১ সালের মার্চ মাস- যখন ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হয়েছিল। সেসময় সবকিছু হারিয়ে সমস্ত উদ্বাস্তু আমাদের ভারতে এসেছিলেন, তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু এখন আসতে পারে না।