গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন গির্জার পারিশ পুরোহিতও, যিনি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের কাছ থেকে প্রতিদিন ফোন কল পেতেন।
ক্যাথলিক দাতব্য সংস্থা কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৬০ বছর বয়সী গির্জার দারোয়ান সাআদ সালামেহ, ৮৪ বছর বয়সী ফুমাইয়া আয়াদ – যিনি বিস্ফোরণের সময় গির্জা চত্বরে একটি কারিতাস তাঁবুতে মনোসামাজিক সহায়তা নিচ্ছিলেন, এবং ৬৯ বছর বয়সী নাজওয়া আবু দাউদ, যিনি আয়াদের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন।
কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিসের মহাসচিব আলিস্টেয়ার ডাটন বলেন, “আমরা এই হামলায় গভীরভাবে শোকাহত। যারা শুধু বাঁচার চেষ্টা করছিলেন এবং গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের উপর এই আঘাত মর্মান্তিক। এ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসাকর্মীরা কতটা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। আমরা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করছি এবং সকল পক্ষকে জীবনের পবিত্রতা ও নিরাপদ আশ্রয়স্থলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
গাজার কাছাকাছি অবস্থিত আল-আহলি আরব হাসপাতালের প্যারামেডিক ইব্রাহিম সাকাল্লাহ জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তারা শেল বিস্ফোরণের সময় ছিটকে পড়া ধাতব অংশের আঘাতে আহত হন।
তিনি বলেন, “গির্জা আক্রান্ত হয়েছে – এমন খবর পেয়ে আমি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সোজা সেখানে ছুটে যাই। এই [ইসরায়েলি] সেনাবাহিনী অত্যন্ত উদ্ধত – তারা খ্রিস্টান বা মুসলমানের পার্থক্য করে না, গির্জা, মসজিদ, বাসা বা স্কুল – কিছুই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা এক নির্মম যুদ্ধের মধ্যে বসবাস করছি।”
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/নাজিম