দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে কম ওজন নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শিশুদের জীবন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ডা. শহীদুল্লাহ চৌধুরী। দীর্ঘ সময় নিজস্ব কলাকৌশল প্রয়োগ করে রক্ষা করেছেন চট্টগ্রাম, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির শত শত নবজাতকের জীবন। কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়ায় শিশুদের বাঁচাতে ব্যয়বহুল চিকিৎসা প্রয়োজন হলেও ডা. শহীদুল্লাহ চৌধুরী হেঁটেছেন ঠিক উল্টো পথে। দরিদ্র পিতা-মাতার ঘরে জন্ম নেওয়া এমন নবজাতকদের জীবন রক্ষায় অন্য এক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনো স্বল্প খরচ বা বিনা খরচে কখনো বা নামমাত্র খরচে একের পর এক নবজাতকের চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। ডা. শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একসময় সৌদি আরবের বিখ্যাত মক্কা আল আবরার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু দেশের কথা চিন্তা বহু বেতনের চাকরি ছেড়ে ফিরে এসেছি। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘ এ সময়ে তিন জেলার কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া হাজার হাজার শিশুকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৭০০ নবজাতকের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। যাদের পরিবারের উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না।’ গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শিশুদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জন্ম নেয় কম ওজন নিয়ে। চিকিৎসাশাস্ত্রে একে ‘লো বার্থ ওয়েট’ বলা হয়। এ চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক গরিব মানুষ নবজাতকের চিকিৎসা করাতে পারেন না টাকার অভাবে। এতে অকালেই প্রাণ হারান অনেক নবজাতক। সেই হতভাগ্য নবজাতকদের রক্ষায় বিবেকের তাড়নায় জীবন রক্ষার মিশন শুরু করেন চিকিৎসক শহীদুল্লাহ। তার কাছে চিকিৎসা নেওয়ার ‘লো বার্থ ওয়েট’ শিশুর বেশির ভাগই হচ্ছে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া। তাদের কারও অভিভাবকেরই ক্লিনিকে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। চিকিৎসকদের মতে ‘লো বার্থ ওয়েট’ শিশুগুলোর তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন। না হলে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। গ্রামের কোনো হাসপাতালে এ চিকিৎসা নেই। তাই সময়ক্ষেপণের কারণে নবজাতকদের বাঁচানো সম্ভব হয় না। ডা. শহীদুল্লাহ চৌধুরী ২০০১ সালে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে বারডেম হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট কোর্স অব ডায়াবেটিকস সিসিডি, ২০১৬ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিশু স্বাস্থ্যে বিশেষ সনদ লাভ করেন। ২০০৮-২০০৯ সালে সৌদি আরবের মক্কা আল আবরার হসপিটালে পেড্রিয়াটিক কনসালট্যান্ট চাইল্ড স্পেশালিস্ট হিসেবে যোগদান করলেও দেশের টানে ফিরে আসেন তিনি।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
- পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
- আগামী ৭২ ঘণ্টায় ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
- দেশে আসলো নতুন সুপারম্যান, সঙ্গে আছে জ্যাকি চ্যানও
- সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে অঘটন, ফাইনালে অ্যানিসিমোভা
- মেয়েকে নিয়ে প্রথমবারের মতো গান গাইলেন ন্যান্সি
- আবারও ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন হেন্ডারসন
- ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ক্যামেরুন ও মালাবির দু’টি স্থান
- সংবিধানে পরিবেশ অধিকারকে 'মৌলিক অধিকার' করার প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের
- মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
- বেরোবিতে ছাত্রীর আত্মহত্যা, লাশ নিয়ে লাইভ করার চেষ্টায় উত্তেজনা
- ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের
- বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর
নবজাতকের জীবনরক্ষায় অদম্য লড়াই
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শিশুদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জন্ম নেয় কম ওজন নিয়ে। চিকিৎসাশাস্ত্রে একে ‘লো বার্থ ওয়েট’ বলা হয়। এ চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকেই নবজাতকের চিকিৎসা করাতে পারেন না। এ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ডা. শহীদুল্লাহ চৌধুরী
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর