এক সপ্তাহ আগে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গতকাল সেই কাঁচা মরিচ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রেতারা কিনেছেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সবজি ও মুরগির সরবরাহ কমেছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দামও বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এ ছাড়া বেগুনসহ একাধিক সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
গতকাল রাজধানীর খিলক্ষেত, জোয়ার সাহারা ও মহাখালী বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ বৃষ্টির অজুহাতে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
খিলক্ষেত কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মানিক হোসেন বলেন, যে কাঁচা মরিচ আগের দিন কিনেছিলাম ১০০ টাকা কেজি, সেটা এখন কেনা লাগছে ২৫০ থেকে ২৯০ টাকায়। ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আসছে না। আবার টানা বৃষ্টি হওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা মজুত করে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন, এ জন্য দাম একটু চড়া। তবে বৃষ্টি শেষ হলে দাম আবার আগের মতো হয়ে যাবে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা। করলা ৬০-৮০ টাকা, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, মুখিকচু ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা, শজিনা ১২০-১৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে এবং এক হালি কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও সেটি ছিল ১৪৫-১৫০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০, খাসির মাংস ১১০০-১২৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলু, মসলা, মাছ ও মাংসের দাম। দেশি পিঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা, আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, দেশি আদা ১৩০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল (চিকন দানা) ১৪০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল (মোটা দানা) ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৪০০ টাকায়। আকারভেদে রুই ও কাতলের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।