বাংলাদেশের সোনালি যুগের চলচ্চিত্রের অসাধারণ এক নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস। কারণ বহু ব্যবসাসফল সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করা দিলীপ বিশ্বাস ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদপুরুষ জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আরও বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেন। তখন ‘হাবুর বিয়ে’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন। পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৭৬ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রযোজিত ‘সমাধি’ ছবিটির মধ্য দিয়ে। এটি ছিল দারুণ সফল একটি চলচ্চিত্র। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত অগণিত হিট ছবি উপহার দেন তিনি। জানা গেছে, সেই সময় এই পরিচালকের পেছনে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে পর্যন্ত ঘুরতেন প্রযোজকরা। এ এক অভাবনীয় বিষয়। দিলীপ বিশ্বাসের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুরের কারখানাবাড়ীতে। শৈশব থেকে গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। বাবার অবসরের পর ষাটের দশকে তাঁরা থিতু হন ঢাকায়। তখন ঢাকার বিভিন্ন স্টেজে প্যারোডি গান করে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন। গানের মাধ্যমেই ১৯৬৫ সালের দিকে দিলীপ বিশ্বাসের পরিচয় হয় অভিনেত্রী সুমিতা দেবীর সঙ্গে। সুমিতা তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন নিজের স্বামী খ্যাতিমান নির্মাতা জহির রায়হানের সঙ্গে। পরের বছর জহির তাঁকে ‘বেহুলা’ ছবিতে গান করার প্রস্তাব দেন। সানন্দে রাজি হয়ে যান দিলীপ বিশ্বাস। জহির রায়হানের সঙ্গে তাঁর বাড়তে থেকে সখ্য। এফডিসিতে শুটিং দেখতে দেখতে সিনেমার প্রতি দিলীপ বিশ্বাসের আকর্ষণ বাড়তে থাকে। জহির রায়হানের সহকারী হিসেবে ১৯৬৭ সালে ‘আনোয়ারা’ ছবির কাজ করেন দিলীপ বিশ্বাস। ‘দাবি’ দিলীপ বিশ্বাসের প্রথম নির্মাণ। তবে প্রথম মুক্তি পায় ‘সমাধি।’ এ ছবির অভাবনীয় সাফল্যে দিনের পর দিন পায়ে হেঁটে এফডিসিতে যাওয়া দিলীপ বিশ্বাসের দিন বদলে গেল। একে একে তিনি নির্মাণ করেন ‘আসামি’, ‘জিঞ্জির’, ‘বন্ধু’, ‘আনারকলি’, ‘অনুরোধ’, ‘অংশীদার’, ‘দায়ী’, ‘অপমান’, ‘অপেক্ষা’, ‘অস্বীকার’, ‘মায়ের মর্যাদা’সহ বহু জনপ্রিয় ব্যবসাসফল ছবি। দিলীপ বিশ্বাসের মৃত্যুর পর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় তাঁর শেষ পরিচালিত ছবি ‘মায়ের মর্যাদা’। বাংলাদেশের পাশাপাশি দিলীপ বিশ্বাস তিনটি ছবি নির্মাণ করেছিলেন কলকাতায়। এর মধ্যে ‘আমার মা’ ও ‘আমাদের সংসার’ অসাধারণ ব্যবসা করে। সিনেমা হল মালিকরা সেই সময়ে দিলীপ বিশ্বাসের নামে ছবি চালাতেন। ঢাকার প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং কলকাতার প্রযোজক অশোক ধানুকা দিলীপ বিশ্বাসের ছবিতে বিনিয়োগ করে তখন প্রচুর আয় করেছিলেন।’ দিলীপ বিশ্বাসের বেশির ভাগ ছবির নাম ‘অ’ অক্ষর দিয়ে। কিন্তু কেন? জানা গেছে, দিলীপ বিশ্বাস তাঁর মায়ের কাছে শিশুকালে স্বরবর্ণ লেখার স্মৃতিটাকে ধরে রাখার জন্য তাঁর নির্মিত অধিকাংশ সিনেমার নাম রাখতেন ‘অ’ দিয়ে। ২০০৬ সালের ১২ জুলাই পরলোক গমন করেন এই চলচ্চিত্রকার।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
- পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
- আগামী ৭২ ঘণ্টায় ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
- দেশে আসলো নতুন সুপারম্যান, সঙ্গে আছে জ্যাকি চ্যানও
- সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে অঘটন, ফাইনালে অ্যানিসিমোভা
- মেয়েকে নিয়ে প্রথমবারের মতো গান গাইলেন ন্যান্সি
- আবারও ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন হেন্ডারসন
- ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ক্যামেরুন ও মালাবির দু’টি স্থান
- সংবিধানে পরিবেশ অধিকারকে 'মৌলিক অধিকার' করার প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের
- মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
- বেরোবিতে ছাত্রীর আত্মহত্যা, লাশ নিয়ে লাইভ করার চেষ্টায় উত্তেজনা
- ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের
- বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস
শোবিজ প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর