অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের পল্লীগ্রামের ট্রাক্টরচালক হৃদয় চন্দ্র রায়। ফেসবুক আর ইউটিউবে এই তরুণ এখন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পেয়েছেন পরিচিতি। ইংরেজি কথা বলায় এলাকার মানুষের কাছে ও নেট দুনিয়ায় এখন তিনি ‘ইংলিশম্যান’। বিদেশি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগ তৈরি করেন তিনি। নামিদামি কোনো স্কুল বা কলেজে হৃদয় রায়ের পড়ালেখার সৌভাগ্য হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নেই কোনো প্রশিক্ষণও। তার পরও ইংরেজিতে কথা বলছেন অনর্গল। বোচাগঞ্জের মুর্শিদাহাট ইউপির হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের সুধীর চন্দ্র রায় ও রাধা রানী রায়ের ছেলে হৃদয় চন্দ্র রায়। সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করেন তিনি। টাকার অভাবে আর পড়ালেখা করা হয়নি তার। নিজের ট্রাক্টরে ও এলাকার মানুষের সঙ্গে কাজ করতে করতে ইংরেজিতে কথা বলার পারদর্শিতা অর্জন করেছেন বলে জানান তিনি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ইংরেজিতে কনটেন্ট বানিয়ে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অনিক রায় বলে, ‘হৃদয় দাদার ভিডিও ফেসবুকে প্রতিদিন দেখি। তার ভিডিও দেখে আমিও ইংরেজি শেখার চেষ্টা করি।’ বাতাসন দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সনাতন রায় বলে, ‘হৃদয় ভাইয়ের ইংরেজি বক্তা হয়ে ওঠা দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। এজন্য তার ভিডিও দেখে ইংরেজি চর্চা করছি। আশা করি, হৃদয় চন্দ্র রায়, দিনাজপুর জেলার গরিবের ইংলিশম্যান হয়ে আরও ইংলিশম্যান তৈরি করবেন।’ হৃদয় চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল ইংরেজিতে কথা বলার। তখন থেকেই ইংরেজি চর্চা শুরু করি এবং যেখানেই যাই সেখানে সবার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করি। আমি ফেসবুকে একদিন দেখি একটা মেয়ে ইংরেজিতে কনটেন্ট বানাচ্ছে। তাকে দেখে আমিও ২০২৫ সালের শুরু থেকে ইংরেজিতে কনটেন্ট তৈরি করি এবং ভালো সাড়া পাই। বর্তমানে আমি ৭০ জনকে অনলাইনে ইংরেজিতে কথা বলা শেখানোর চেষ্টা করছি।’