আগের আসরে বাংলাদেশ যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতের সঙ্গে। ভারত এবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে খেলছে না। আফঈদারা এককভাবে শিরোপা জিততে পারে। সেই সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে নেপালকে হারিয়ে। গতকাল সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় অনুষ্ঠিত ঘটনাবহুল ম্যাচে ৩-২ গোলে জয়ে পেয়েছে। এ জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে স্বাগতিকরা। আগামীকাল ভুটানের বিপক্ষে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। জিতলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম পর্বে শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ।
শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশ জয় পেলেও নেপাল কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলে ম্যাচে সমতা এনেছিল। শুধু তাই নয়, নেপাল যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিল তাতে বাংলাদেশ ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেও বলা যায়। নেপালের দুর্ভাগ্য ড্র করা ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হেরে যায়। গোলরক্ষক সুজাতা ছাড়াও অন্যরা কেঁদে মাঠ ছাড়েন। শুরুতেই গোল খেয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। জয়নবের ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে শট নিয়েছিলেন গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী ম ল, সামনে থাকা নেপালের সুকরিয়া মিয়ার গায়ে লেগে বল পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। এখান থেকে রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশ আক্রমণ চালাতে থাকে। ১৩ মিনিটেই শিখা জাহানের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সাগরিকার কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে গোল করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর ব্যথা পেলে মাঠ ছাড়েন সাগরিকা। ফিরেই প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা সাগরিকা ব্যবধান ২-০ করেন।
প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় দর্শকরা ভেবেছিলেন অনায়াসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে আফঈদারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাগরিকা ও শিখা গোলের সুযোগ হাত ছাড়া করেন। ৫৫ মিনিটে মাঠ হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। সাগরিকাকে ফাউল করেন সিম রান। একপর্যায়ে সাগরিকার চুলও টেনে ধরেন তিনি। দুই দলের মধ্যে হাতহাতি হলে সাগরিকা ও সিমরানকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সিমরানের লাল কার্ড নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সাগরিকা তো লাল কার্ড দেখার মতো দোষ করেনি। তার পরও তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। বাকি সময়ে দুই দল ১০ জন নিয়ে খেললেও নেপাল দুর্দান্ত খেলা শুরু করে। আক্রমণের পর আক্রমণ। চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না ডিফেন্ডারদের। ৭৫ মিনিটে নেপালের মিনাকে ডিবক্সের ভিতর ফাউল করেন জয়নব। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। আনিশা জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান ১-২ করেন। ৮৬ মিনিটে পূর্ণিমার আড়াআড়ি ক্রশে বল পেয়ে মিনা জালে বল পাঠালে নেপালের আনন্দ আর দেখে কে। কপাল ভালো স্বাগতিকদের শেষ বাঁশি বাজার আগে তৃষ্ণা রানীর গোলে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।