রাজধানীর বংশালে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগের মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বংশাল থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. রাশেদুজ্জামান, আলমগীর হোসেন ও আবদুল জলিল। সোমবার রাতে সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল এসব তথ্য জানান ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা এক বা দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে বংশাল থানায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, দেড় বছর আগে রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে রাশেদুজ্জামান ভুক্তভোগীকে তার বাসায় কাজের প্রস্তাব দেন। প্রথমে রাজি না হলেও ভুক্তভোগী পরে কাজে যোগ দেন। এক সময় রাশেদুজ্জামান তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেন। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বংশালের সাতরওজায় তার বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। এ ভিডিও ব্যবহার করে রাশেদুজ্জামান অন্য গ্রেপ্তারদের সঙ্গে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন এবং প্রতিটি ঘটনার ভিডিও করে রাখেন। পরে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রচারের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন রাশেদুজ্জামান। টাকা না দেওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ভুক্তভোগীর গ্রিস প্রবাসী বেয়াইয়ের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।