ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” প্রকল্পের আওতায় টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক সাংবাদিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ ও লজিস্টিক) নাসিমা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. নোমান মিয়া, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, এটি দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে এই কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় সাড়ে ১১ লাখ শিশুকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৩৮ শতাংশ শিশু এখনো রেজিস্ট্রেশন করেনি। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে, যা চলবে ১৮ দিন। প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থানীয় পর্যায়ে টিকা প্রদান করা হবে। রেজিস্ট্রেশন চলবে টিকা শুরুর আগ পর্যন্ত, যা শুরু হয়েছিল ১ আগস্ট থেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, “আমাদের দেশে প্রতি বছর টাইফয়েডে বহু মানুষ মারা যায়, যার মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। যাদের সন্তান হারায়, তারাই বোঝে এই কষ্টের গভীরতা। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তেলাপোকা টাইফয়েড রোগের অন্যতম কারণ। আমাদের অনেক পরিবার খাবার ঢেকে রাখে না, ফলে তেলাপোকা খাবারে হাঁটে এবং তা খেয়ে মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। দেশের এই কঠিন সময়ে সরকার বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দিচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য। আজকের শিশুরাই হবে আগামীর দেশনেতা।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক