নাটোরের বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের গুনাইহাটী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন বড়াইগ্রামের কালিকাপুর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত অফেজ উদ্দিনের ছেলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত এমএলএসএস আনসার আলী (৬২), লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের অটোরিকশাচালক মুনছের প্রামাণিক (৭০) এবং একই গ্রামের নয়ন হোসেন (২৬)।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আনসার আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম (৫৫), বড় ছেলে রানা আহম্মেদ (৩৮) এবং ছোট ছেলে রাসেল (২৩)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা দুইটার দিকে আনসার আলী তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে অটোরিকশায় মানিকপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। পথে গুনাইহাটী মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি সড়ক পরিবর্তন করে ডানের ফিডার রোডে ওঠার সময় নাটোর থেকে কুষ্টিয়াগামী যাত্রীবাহী বাস ‘কল্পনা এক্সপ্রেস’ (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৪৫১৪) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালকসহ তিনজন নিহত হন।
পরে স্থানীয়রা আনসার আলীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ রাজাপুর এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করেছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল