ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রবিবার রাত থেকে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর শিমুল বাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুধকুমর নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। এতে রোপা আমন ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে, যা কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, ভারতের কালজানি নদী হয়ে ভেসে আসা হাজারো গাছের গুড়ি ও কাঠের টুকরো সংগ্রহ করতে গিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার ধান ব্যবসায়ী মনসুর আলী (৪৫) নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খামার নকুলা এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালেই দুধকুমর নদীতে ভেসে আসা গাছের গুড়ি সংগ্রহ করতে গেলে প্রবল স্রোতে পড়ে মনসুর আলী নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় করেছেন।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের লিডার তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে উদ্ধার টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এখনও কোনো সাফল্য পাওয়া যায়নি।
রবিবার বিকেলে ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙা ও শালঝোড় এলাকায় কালজানি নদীতে হাজার হাজার গাছের গুড়ি ভেসে আসতে দেখা যায়। পরে এসব গাছের গুড়ি সদর, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদেও ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ নৌকা নিয়ে গাছপানি সংগ্রহে নেমে পড়েছেন।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকে সবয়ন নদীর পানি কমতে শুরু করেছে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা