বাবার চোখে মুখে গরম তেল ছুড়ে ঝলসে দিল এক কিশোরী। গত শুক্রবার দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়ার পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ মো. নুরুন্নবীকে (৩৫) পরশুরাম সদরে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফেনী সদরে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে দগ্ধ নুরন্নবীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নুরুন্নবী বাসপদুয়া গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় নুরুন্নবীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহাকে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। জানা যায়, গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নবীর ছোট মেয়ে লামিয়াকে (৭) নিজ বাসায় স্কচটেপ দিয়ে হাত, পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখমুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে হেলমেট পরা দুই যুবক।
এ সময় নুরুন্নবীর অপর মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা কৌশলে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে প্রাণে রক্ষা পায় বলে তখন জানিয়েছিলেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, লামিয়া হত্যার ঘটনায় ফাতেমা ও তার সৎমা জড়িত। প্রতিবেশীদের দাবি, ফাতেমা ও তার সৎমা যোগসাজশে নুরুন্নবীকে গরম তেল মেরেছে। সৎমাকে আইনের আওতায় নিয়ে এলে সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে।
আহত নুরুন্নবী জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বিছানায় শোয়া থাকা অবস্থায় তার চোখেমুখে ও শরীরে গরম সয়াবিন তেল ছুড়ে মারে মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা। এতে মুখসহ শরীরের এক অংশ ঝলসে গেছে।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে লামিয়াকে বাড়ির গেটের বাইরে কারা ডেকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সে তর্কবিতর্ক করতে থাকে।
নিহা জানায়, যারা লামিয়াকে মেরেছে তারাই আমাকে ডেকেছে। আমি তাদের নাম বলতে পারব না। লামিয়ার হত্যাকারীরা মেয়ের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করে বলে দাবি করেন নুরুন্নবী।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, তেল ছুড়ে বাবাকে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।