জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও ১৪ দলীয় জোটের বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ সরকারকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে ওই দলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে বলা হয়। গতকাল লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী পরিচয় দেওয়া হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান এ নোটিস পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর এ নোটিস পাঠানো হয়। হোসাইন মো. আনোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ দমন-নিপীড়ন একা একা চালায়নি। ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই সেই সব দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চেয়ে এ নোটিস দেওয়া হয়েছে। নোটিসে বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সি আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যায় এবং বর্তমান সরকার তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টের এই শাসনের সহযোগী ছিল ১৪ দল।
যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয় তাহলে এই দলগুলোর কেন নয়? তাই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় হাই কোর্টে রিট করা হবে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ, বাসদ (রেজাউর), সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।