দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক সচিব ও এনজিও উদ্দীপনের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাসসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পৃথক দুই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এসব আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহা. শোয়াইব ইবনে আলম এসব আবেদন করেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ড. আবু জামিল ফয়সাল, শওকত হোসেন, রেজা সেলিম তৈয়বুল হক, রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও সিইও এবং মেম্বার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান ও নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুত কুমার বসু।
পৃথক আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে নিয়ে আইন ও বিধি লঙ্ঘনপূর্বক উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ তহবিল থেকে বিনিয়োগ বা খরচ হিসেবে অর্থ প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এই জালিয়াতি সম্পৃক্ত দুইটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিদেশগমন রহিতকরণ ও এনআইডি ব্লক করা একান্ত প্রয়েজন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল মিহির কান্তিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।
মিহির কান্তি ২০১১ থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ২০১৩ সালের ১৩ মে অবসর গ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত