ফুল শুধু সুন্দরই নয়, তাদের পরাগ ছড়ানোর পদ্ধতিও আশ্চর্যজনক। বিশেষ করে ফুলের পুরুষ অঙ্গ বা পুংকেশর (stamen) অনেক সময় স্পর্শে দ্রুত নড়াচড়া করে। এভাবে তারা পোকামাকড়কে ব্যবহার করে পরাগ ছড়িয়ে দেয়।
বারবেরিস (Berberis) ও মাহোনিয়া (Mahonia) ফুলে মধু খেতে আসা পোকা পুংকেশরের আঘাতে মুখ বা জিহ্বায় পরাগ মেখে নেয়। এতে পোকা ভয় পেয়ে বেশি সময় থাকে না। ফলে ফুলের মধু নষ্ট হয় না, আবার পোকা অন্য ফুলে গেলে সেই পরাগ স্ত্রী অঙ্গে লেগে নতুন ফুলে গর্ভসঞ্চার হয়।
ক্যাসেটাম (Catasetum) নামের অর্কিড ফুলে অবতরণ করলে পোকা আরও তীব্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। এখানকার ফুল হঠাৎ করে আঠালো পরাগের থলে ছুঁড়ে মারে। এত জোরে আঘাত লাগে যে পোকা ফুল থেকে পড়ে যায়, তবে শরীরে পরাগ লেগে থাকে।
সবচেয়ে আশ্চর্য হলো অস্ট্রেলিয়ার ট্রিগারপ্ল্যান্ট (Stylidium)। এদের যৌন অঙ্গ গদার মতো একটি অংশে থাকে। সামান্য স্পর্শ পেলেই এই অঙ্গ মুহূর্তে ঘুরে গিয়ে পোকাকে আঘাত করে। এতে পোকা ফুলের পরাগ নিয়ে যায় আবার আগের কোনো পরাগও রেখে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফুলটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে, পরের অতিথিকে একইভাবে আঘাত করার জন্য প্রস্তুত।
গবেষকরা বলছেন, এসব বিশেষ কৌশল ফুলকে শুধু বাঁচিয়ে রাখে না, বরং নিশ্চিত করে যে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকে থাকবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল