রাজধানীর হাতিরঝিলে ফের বন্ধ হয়ে গেছে ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা। বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মীদের কর্মবিরতির কারণে দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এ সেবা বন্ধ হলো। এতে নিয়মিত যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত সোমবার থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিচালক ও কর্মীরা কাজে যোগ দেননি। ফলে এফডিসি গেট থেকে রামপুরা ও বাড্ডা লিঙ্ক রোডে চলাচলকারী নৌপথের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী এ সেবার ওপর নির্ভরশীল।
বৃহস্পতিবার হাতিরঝিলের বিভিন্ন ওয়াটার ট্যাক্সি স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। নৌযানগুলো ঘাটে বাঁধা রয়েছে, গেটে ঝুলছে তালা। হঠাৎ সেবা বন্ধ হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বেসরকারি চাকরিজীবী মাহফুজ উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, অফিস শেষে প্রতিদিন ওয়াটার ট্যাক্সিতে রামপুরা ফিরি। কিন্তু দুদিন ধরে বন্ধ থাকায় যানজটে পড়ে এক ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ থাকায় এখন মেট্রো ধরার আগেই রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে।
ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ৬০ জনের বেশি কর্মী বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। কবে আবার চালু হবে, নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
এ নিয়ে রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তিনদিনের মধ্যে জবাব না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোজাফফর উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো। কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে, জবাব না পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত জুনেও ভাড়া বকেয়া থাকায় পাঁচদিন ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধ ছিল। পরে বকেয়া পরিশোধ করলে সেবা চালু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শআ