ভারতের কর্নাটকের হাভেরির নিম্ন আদালত ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত যুবককে মঙ্গলবার জামিন দিয়েছিল। তাদের সঙ্গী-সাথীরা আগে থেকেই হাভেরি জেলের সামনে গাড়ি এবং বাইকের কনভয়, ডিজে বক্স নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সাত অভিযুক্ত জেলের বাইরে পা রাখতেই তাদের প্রথমে মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তারপর গাড়ি, বাইকের কনভয় এবং তারস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে ওই সাত জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাভেরি জেল থেকে হাঙ্গাল তালুক পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা শোভাযাত্রা করে যান ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত জন এবং তাদের সঙ্গীরা।
সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। হাভেরির পুলিশ সুপার ভিডিওটি খতিয়ে দেখার পর ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের কাছে ওই সাত অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন জানান। আদালতের নির্দেশ পেয়েই সাত জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন জন পলাতক।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হাভেরির একটি হোটেলে ঢুকে এক যুগলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, হোটেল থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই সাত যুবককে। হাভেরির নিম্ন আদালতে মামলাটি চলছে।
মঙ্গলবার তাদের জামিন হয়। আর তারপরই তাদের মহাসমারোহে জেল থেকে তাদের নিয়ে যান সঙ্গীরা। এই ঘটনা ঘিরে হুলস্থুল পড়ে যায়। শুরু হয় বিতর্কও। তার পরই পুলিশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে আবার গ্রেফতার করা হয় তাদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণ এবং হামলার অভিযোগে মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ছিলেন সাত জন। ১০ মাস আগে ১২ জনের জামিন হয়। বাকি সাত মূল অভিযুক্তকে মঙ্গলবার জামিন দেন আদালত।
সূত্র: আনন্দবাজার