চট্টগ্রামে মোবাইল চোর চক্রের অভিনব কৌশল সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে পুলিশ। চুরি বা ছিনতাই করা মোবাইল সেটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) পাল্টে এবং মেরামত করে নতুন করে প্যাকেটে ভরে বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র। এই চোরাই ফোনসেটগুলো যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও। শুধু তাই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরেও পাঠানো হচ্ছে এসব চোরাই মোবাইল সেট। মিয়ানমার, নেপালসহ বেশ কয়েকটি দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, এসব মোবাইল ফোন সেটের আইএমইআই পাল্টে এবং মেরামত করে নতুন করে প্যাকেট করা হতো। পরে সেগুলো বিভিন্ন জেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হতো। চুরি-ছিনতাইয়ের এসব মোবাইল ফোন সেট চলে যায় মিয়ানমার, ভারত ও নেপালে। তিনি আরও বলেন, এ চক্র ভিড়ের মধ্যে বা জনসমাগমস্থলে বেশি সক্রিয় থাকে। জানা গেছে, সিএমপির ডিবি (পশ্চিম)-এর বিশেষ অভিযানে চুরি ও ছিনতাই হওয়া ৩৪২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ছয়টি ল্যাপটপ এবং নগদ দুই লাখ টাকাসহ চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১০ জুলাই মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) পুলিশ নগরীর নন্দন-কানন হরিশদত্ত লেনে রশিদ মঞ্জিলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন বাকলিয়ার মো. তানভির হাসনাইন (৩২), লোহাগাড়ার মো. সোহেল উদ্দিন (৩২) ও মো. মোহাম্মদ হোসাইন (২২), নোয়াখালীর মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৬), সাতকানিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চুরি ও ছিনতাইয়ের মালামালগুলো অধিক দামে বিভিন্ন জেলাসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মিয়ারমার, নেপালে ও ভারতে পাঠিয়ে দেয়।
জামিনে বের হয়ে পুনরায় তারা একই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তানভির হাসনাইন ও সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে চারটি মামলা এবং চাকমা রুবেলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।