রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, সোহাগের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, আমি যদি প্রশ্ন করি ১০০ মিটারের মধ্যে আনসার ক্যাম্প তারা কী করল? আমি যদি প্রশ্ন করি, পুলিশ কী করল? আমি যদি প্রশ্ন করি, ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল? দে হ্যাভ টু আনসার ইট।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি-বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, চেয়ারে বসে থাকতে ভালো লাগে, এটা আমরাও বুঝি। চেয়ারের মজা যদি নিতে হয়, চেয়ারের দায়িত্বও নিতে হবে।
তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ সামান্য নিরাপত্তা চায়। খুব বেশি কিছু চায় না। গত ৯ মাসে আমরা কী দেখলাম? বাংলাদেশে একটি নতুন সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। মবোক্রেসি। হুরহুর করে ২০-৩০ জন মানুষ আরেকটা মানুষের ওপর হামলে পড়ে। হতে পারে তার সঙ্গে তার ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, হতে পারে তার সঙ্গে তার রাজনৈতিক মতের অমিল আছে। রিপোর্ট বলছে, এর সঙ্গে অর্থনীতি জড়িত, অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে ১০-২০ জন ভাড়া করে এভাবে মব তৈরি করা হয়।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, যেটুক ঐকমত্য হয়েছে সেটুকুই যথেষ্টের বেশি। বাকি ব্যাপার ১৮ কোটি মানুষ, যারা এই দেশে জন্মেছে, এই দেশেই থাকবে, এই দেশেই তারা মরবে তাদের হাতে ছেড়ে দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই