রাজধানী কলম্বো থেকে ১৪৮ কিলোমিটার উত্তর-পুর্বে ডাম্বুলা শহর। সবুজ বনায়ন ঘেরা শহরটি দেশের সর্ববৃহৎ সবজি বাজার। শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাঙগিরি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানেই আজ ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয়টি খেলবে দুই দল। শ্রীলঙ্কার পরিচিত ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে ওয়ানডে হচ্ছে ২০০১ সাল থেকে। টি-২০ ম্যাচও হয়েছে। কিন্তু সাদা পোশাক ও লাল বলের টেস্ট হয়নি এখন পর্যন্ত। রাঙগিরিতে ৫টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে টাইগারদের। টি-২০ অভিষেক হচ্ছে আজ। এখন পর্যন্ত রাঙগিরিতে টি-২০ ম্যাচ হয়েছে মাত্র ৮টি। সবগুলোই হয়েছে গত বছর। রাঙগিরিতে বাংলাদেশের অভিষেক টি-২০ ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি লিটন বাহিনীর জন্য সিরিজে ফেরার এবং চারিথ আসালাঙ্কার শ্রীলঙ্কার সিরিজ নিশ্চিতের। সিরিজে ফেরার ম্যাচে আজ ফিরতে পারেন উইকেরক্ষক ক্যাটার জাকের আলি অনীক। ইনজুরির জন্য প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলেননি তিনি। ফিরলে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তখন অধিনায়ক লিটন ফিল্ডিং করবেন।
প্রথম টি-২০ ম্যাচে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে লিটন বহিনী। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির কোনো ইনিংস ছিল না। পাল্লেকেলের ধীরলয়ের উইকেটে টাইগারদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৩৫ মাস পর ফিরে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন নাঈম শেখ। ওপেনার হয়েও সেদিন খেলেছিলেন ৪ নম্বরে। অধিনায়ক লিটন ব্যাটিং করেন ৩ নম্বরে। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। লিটনকে পরবর্তী টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটনের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়। যদিও গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ জয়ের অধিনায়ক ছিলেন লিটন। লিটন নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর টানা ৬টি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। টানা সপ্তম ম্যাচ হারের বৃত্ত থেকে বেরোনোর ম্যাচ আজ।
ডাম্বুলায় ৫টি ওয়াডে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালে এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে ৩টি ম্যাচ খেলেছিল। ভারতের কাছে ৬ উইকেটে, শ্রীলঙ্কার কাছে ১২৬ রানে এবং পাকিস্তানের কাছে ১৩৯ রানে হেরে যায়। এরপর ২০১৭ সালে ওয়ানডে সিরিজের দুটি ওয়ানডে খেলেছিল। একটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। আরেকটিতে টাইগাররা জয় পায় ৯০ রানে। ম্যাচটি টাইগাররা জিতেছিল তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে। বাঁ হাতি ওপেনারের ১২৭ রানে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট ৩২৪ রান। জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছিল ২৩৪ রানে। সর্বশেষ ৮ বছর আগের ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আজ রাঙগিরি স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
প্রথম টি-২০ ম্যাচে ব্যাটাররা যেমন পারেননি ব্যক্তিগত ইনিংসগুলোকে লম্বা করতে। তেমনি বোলাররাও পারেননি প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চেপে ধরতে। বোলারদের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন দুই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। অফ স্পিনার মিরাজ ৪ ওভারের স্পেলে ২৪ রানে খরচে নেন ১ উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদও ৪ ওভারে ২৪ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। তিন পেসারের মধ্যে একটি উইকেট নেন ১৪ মাস পর খেলতে আসা পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তার উইকেটের পুরো কৃতিত্বই শামীম হোসেন পাটোয়ারীর। ম্যাচ সেরা কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন তিনি। দুই দল এখন পর্যন্ত টি-২০ খেলেছে ১৮টি। বাংলাদেশের ৬ জয়ের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার জয় ১২টি।